চুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহার
চুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহার। কারি পাতা রান্নার কাজে ব্যবহার হয় এটা আমরা অনেকেই জানি। কিন্তু আপনি যদি জানতে চান চুলের যত্ন কারি পাতার ব্যবহার সর্ম্পকে তরে আপনি সঠিক জায়গাতেই এসেছেন। এই পোস্টে চুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহার সর্ম্পকে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। আজকে আপনি জানবেন চুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহার।
আমরা প্রায় সবাই চুলের যত্নে বিভিন্ন প্রাকৃতিক এবং কৃত্রিম জিনিসপত্র
ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু চুলের যত্নে কারি পাতা কতটা কার্জকরী এটি জানলে
আপনি অবাক হয়ে যাবেন। আপনারা সকলেই চান ঘন কালো খুশকী মুক্ত চুল তাই না।
তাহলে আপনি আজকে থেকে কারি পাতার ব্যবহার শুরু করে দেন। আপনি জানলে আবাক
হবেন যে কারি পাতার এত গুন। তাহলে চলুন কারি পাতার ব্যবহার সর্ম্পকে জেনে
আছি।
পেজ সূচিপ্ত্রঃ চুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহার
- চুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহার
- কারি পাতা কি এবং এটি ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ কেন
- চুলকে খুকশী মুক্ত রাখতে কারি পাতা ব্যবহার
- চুলের স্বাস্থ্যের জন্য কারি পাতার উপকারিতা
- আমলকি ও মেথির সাথে কারি পাতার ব্যবহার
- চুলের জন্য কারি পাতা ব্যবহার করলে যে যে উপকার গুলো পাওয়া যায়
- কারি পাতা ব্যবহারে সতর্কতা
- চুলের যত্নে কারি পাতা তেলের ব্যবহার
- চুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবাহার সর্ম্পকে প্রশ্ন
- শেষ কথাঃ চুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহার
চুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহার
চুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পাতা। ঘন কালো
মজবুদ চুল আমরা সকলেই পছন্দ করি,কিন্তু দিনশেষে চুল পড়ে যাওয়ায় চুলের জন্য
আমাদের ভীষণভাবে হতেশ করে দেয়। আর এই হতাশার হাত থেকে বাচতে কারি পাতার
ব্যবহার করবো। চুলের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য আপনি কারি পাতার
হেয়ার প্যাক তৈরি করতে পারবেন আপনি যদি কারি পাতার হেয়ার প্যার নিয়মিত
ব্যবহার করেন। তাহলে আপনার চুলের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সমাধান করতে পারবেন।
চুল পড়া কমাতে কারি পাতার মধ্যে রয়েছে প্রোটিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্টি সমৃদ্ধ
উপকরণ। তাহলে আপনাদের সাথে আজকে শেয়ার করি চুলের যত্নে কারি পাতা কি ভাবে
ব্যবহার করলে স্বাস্থ্য উজ্জ্বল চুল আমরা পাবো। তাহলে চলুন জেনে আছি কারি
পাতা ব্যবহার পদ্ধতি সমূহ।
- নারিকেল তেল ও কারি পাতাঃ একটি পাত্রে এক কাপ পরিমাণ নারিকেল তেল দিন, ১০ থেকে ১২ টি কারি পাতা তেলে দিয়ে হালকা আঁচে ৫ থেকে ৭ মিনিট ফুটাতে হবে। ফুটানো হয়ে গেলে নামিয়ে ঠান্ডা করে ছেকে নিন। এভাবে সংরক্ষণ করে আপনি সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন এই তেল ব্যবহার করুন।
- মেথি, আমলকি ও কারি পাতাঃ আধা কাপ মেথি, ১০ থেকে ১২ টি কারি পাতা ও পাঁচ ছয়টা আমলকি একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এবার ভালো ভাবে চুলে এই মিশ্রণটি লাগিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট মতো। এরপর শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন।
- নারিকেল তেল ও কারি পাতাঃ একটি পাত্রে এক কাপ পরিমাণ নারিকেল তেল দিন, ১০ থেকে ১২ টি কারি পাতা তেলে দিয়ে হালকা আঁচে ৫ থেকে ৭ মিনিট ফুটাতে হবে। ফুটানো হয়ে গেলে নামিয়ে ঠান্ডা করে ছেকে নিন। এভাবে সংরক্ষণ করে আপনি সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন এই তেল ব্যবহার করুন।
- মেথি, আমলকি ও কারি পাতাঃ আধা কাপ মেথি, ১০ থেকে ১২ টি কারি পাতা ও পাঁচ ছয়টা আমলকি একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এবার ভালো ভাবে চুলে এই মিশ্রণটি লাগিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট মতো। এরপর শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন।
- পেঁয়াজ ও কারি পাতাঃ চুল পড়া বন্ধ করতে পেঁয়াজ ও কারি পাতা ভীষণ কার্জকারী। পেঁয়াজ ও কারি পাতা একসঙ্গে ব্লেন্ড করে ছেকে রসটুকু বের করে তুলার সাহাজ্যে চুলের গোঁড়ায় লাগিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট মতো। এরপর চুল ধুয়ে ফেলুন.
কারি পাতা কি এবং এটি ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ কেন
কারি পাতার ব্যবহার সর্ম্পকে জানার পুর্বে আমাদের এটা জানতে হবে কারি পাতা
আসলে কি এবং এটি কেন ব্যবহার করা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারি পাতা
হচ্ছে এমন এক ধরনের সুগন্ধিযুক্ত পাতা যেটা আমাদের দক্ষিন এশিয়ার মূলত
রান্নার কাজে ব্যবহার করা হয়। একে রান্নার কাজে ব্যবহার করা হয়। কারন
খাবারের গন্ধ এবং স্বাদ বৃদ্ধি করতে কারি পাতা অতুলনীয়। কারি পাতা ব্যবহার
করা গুরুত্বপূর্ণ কারন এটি যেমন আমাদের খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি করে ঠিক তেমনি
চুলের যত্নে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।
আরো পড়ুনঃ চুলের যত্নে কালোকেশী
কারি পাতা প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, আইরন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ইত্যাদি রয়েছে
সেটা আমাদের শরীর ও সৌন্দর্জ বৃদ্ধিতে সহায়ক। আর চুলের যত্নে এটা কি রকম
ভূমিকা পালন করে। সেটা আপনি ইতিমধ্যে জেনেছেন। এছাড়াও কারি পাতা আমাদের
পরিপাকতন্ত্রকে উন্নত করে থাকে। এর পাশাপাশি এটি আমাদের ডায়াবেতিক্স নিয়ন্তণ
এবং ওজন অধিক কার্জকরী একটি পাতা। যেটি নিয়মিত ও পরিমিত বিভিন্ন ভাবে
ব্যবহারের মাধ্যমে আমাদের উপকৃত করে থাকে।
চুলকে খুকশী মুক্ত রাখতে কারি পাতার ব্যবহার
শীতকাল আসলে বেশিরভাগ মানুষের মাথায় খুকশী ভর্তি হয়ে যায়। এই সমস্যা কম বেশি
সকল মানুষের থাকে। খুকশী দূর করতে কারি পাতা অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা
পালন করে। চুলের খুকশি দূর করার জন্য কারি পাতা ব্যবহার আপনাদের জন্য একটি
প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে কাজ করবে। খুকশি দূর করার জন্য আমরা বাজারের নানা
রকম প্রোডাক্ট ব্যবহার করে থাকি কিন্তু তাতে তেমন কোন সুফল পাওয়া যায় না।
এইজন্য আমার পরামর্শ হলো কমপক্ষে সপ্তাহে একদিন কারি পাতা মিশ্রন ব্যবহার করে
দেখেন, এই পাতার উপকার আপনি নিজেই বুঝবেন।
কিভাবে ব্যবহার করবেন___ কারি পাতার পেস্ট বানিয়ে টক দইয়ের সাথে মিক্স করে
চুলে আগাগোরা পর্জন্ত ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে চুলে
শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। আপনি যদি কারি পাতার পেস্ট করা ঝামেলা মনে করেন
তাহলে আপনি নারিকেল তেলের সাথে কারি পাতা হালকা আঁচে পাঁচ থেকে সাত মিনিট
ফুটিয়ে নিয়ে সেই তেল ব্যবহার করতে পারেন। কারি পাতা শুধু খুকশী দূর করে না
বরং আপনার চুলের গোরা মজবুদ করতে সাহায্য করে এবং চুল লম্বা করতেও সাহায্য
করে।
চুলের স্বাস্থ্যের জন্য কারি পাতার উপকারিতা
পুষ্টি সমৃদ্ধ চুলের চিকিৎসাঃ কারি পাতাকে পুষ্টি সমৃদ্ধ চুলের চিকিৎসা
হিসাবে বলা হয়ে থাকে। কেননা এতে রয়েছে উচ্চ পরিমাণ ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান
যা চুল এবং মাথার ত্বকে পুষ্টি যোগায়, চুলের নানাবিদ সমস্যা সমাধান করে চুলের
রোধ করে। নিয়মিত কারি পাতা ব্যবহার করলে চুলের প্রয়োযনীয় পুষ্টি পুরন হয়। তাই
চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
প্রাকৃতিক চুলের কন্ডিশনারঃ কারি পাতা প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার
করা হয়ে থাকে। আপনি যদি কারি পাতার পেস্ট চুলে লাগিয়ে ৩০ মিনিট পরে গোসল করে
শ্যাম্পু করে নেন। তাহলে স্যাম্পুর পরে আপনাকে আলাদাভাবে কন্ডিশনার ব্যবহার
করতে হবে না। এই কারি পাতায় আপনার চুল সিল্কিও সাইনি করতে সাহাস্য করবে।
স্ক্যাল্প পিএইচ ব্যালেন্স করাঃ মাথায় ত্বকের সঠিক পিএইচ বজায় রাখা
স্বাস্থ্যকর চুলের জন্য খুবই গুরুত্বপুর্ন। কারন এই পাতা চুলের খুকশি দূর করে
এব পাশাপাশি আন্যান্য অবস্থার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। কারি পাতা মাথার
ত্বকের ও চুলের স্ক্যাল্প পিএইচ ব্যালেন্স করতে ভিশনভাবে সাহাজ্য করে।
আমলকী ও মেথির সাথে কারি পাতার ব্যবহার
আমলকী ও মেথির সাথে কারি পাতা ব্যবহার করা যায়। আমলকী এবং মেথি চুল বাড়াতে বা
ঘনত্ব করতে সাহায্য করে। আপনি বা আমি যদি আমলকি ও মেথির সাথে কারি পাতা
ব্যবহার করতে যায়। তাজলে আমাদেরকে আধা কাপ মেথি, কারি পাতা একটি গোটা আমলকীর
রস এবং আধা কাপ মেথি দিয়ে। ভালো করে মিক্স করে ব্যালেন্ডারে বা আপনার কাছে
যেটা রয়েছে। সেটা দিয়ে ঘুরিয়ে একটি মিশ্রন তৈরি করুন। কারি পাতা আমলকী ও
মেথির মিশ্রণটি তৈরি করার পরে আপনি আপনার মাথায় সে মিশ্রণটি ব্যবহার করবেন।
মিশ্রণটি ব্যবহার করার পরে ৩০ মিনিট রেখে দিবেন। এবং আধা ঘণ্টা সেটি হালকা
গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন। কারন কারি পাতার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে
ভিটামিন বি।
আরো পড়ুনঃচুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহার
যেটা আপনার চুলের জন্য খুবই উপকারি। এই ভিটামিন চুলের গোঁড়া মজবুদ করে এবং
চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে। আর আপনি যদি চান যে আপনি এটি তেল হিসেবে ব্যবহার
করবেন। তাহলে আপনি নারিকেলের তেলের সাথে মেথি এবং কারি পাতা একসঙ্গে ফুটিয়ে
নেবেন। ফুটিয়ে নেওয়ার পরে এটি একটি তেল বানিয়ে রেখে দিবেন। এবং শ্যাম্পু করার
আগে এই তেলটা আপনি নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে আপনার চুল অনেক সুন্দর
হবে। আমলকী এবং মেথি চুলের ঘনত্ব বাড়ায়।
চুলের জন্য কারি পাতার ব্যবহার করলে যে যে উপকার গুলো পাওয়া যায়
চুলের জন্য কারি পাতা ব্যবহার করলে যে যে উপকার গুলো পাওয়া যায়। সেই উপকার
গুলো আমরা আজকে বর্ননা করবো। চুলে কারি পাতা ব্যবহার করলে অনেক উপকার হয়েছে।
সেগুলো কিভাবে কোন উপায়ে ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যাবে। সেইগুলো ওপরে
বর্ণ্না অনুযায়ী চুলের যত্ন যদি কারি পাতা ব্যবহার করা হয়। তাহলে আমাদের
উপকার গুলো হবে__
- চুলের আদ্রতা বজায় রাখে
- চুল পড়া কমায়
- চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ায়
- চুল বৃদ্ধিতে সাহায্য করে
- চুলের ন্যাচারাল কালার ধরে রাখে
- স্ক্যাল্পের স্ত্রিন পরিষ্কার করে
- মাথায় রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে
- চুল ঝলমলে করে
- চুলের খুশকি দূর করে
- চুলের আগা ফাটা কমায়
কারি পাতা ব্যবহারে সতর্কতা
কারি পাতা ব্যবহারে আমাদের অনেক উপকার সাধন হলেও এটি আতিরিক্ত ব্যবহার আমাদের
সতর্ক থাকা উচিত। কেননা এর যেমন ভালো দিক রয়েছে ঠিক তেমনি অতিরিক্ত ব্যবহার
এর কিছু প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তাই কারি পাতা ব্যবহার করবেন এর সতর্কতা
সর্ম্পকে আমাদের জানা উচিত। তাহলে চলুন জেনে নেই। কারি পাতা ব্যবহারের কি কি
সতর্কতা রয়েছে।
- প্রয়োজনের তুলনায় আমরা যদি অতিরিক্ত কারি পাতা চুলের যত্নে ব্যবহার করে ফেলি তাহলে এটি আমাদের চুলে অতিরিক্ত তইলাক্ত ভাব তৈরি করতে পারে। তাই সপ্তাহে ২-৩ তিনবার এবং নিয়ম অনুযায়ী এটি ব্যবহার করা উচিত হবে বলে বনে করি।
- আমাদের মধ্যে কারো শরীরে যদি এলার্জির সমস্যা থেকে থাকে তাহলে কারি পাতার রস অথবা তেল ব্যভারের ক্ষেত্রে চুলকানির সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই শুরুতেই অল্প করে পরীক্ষা করে দেখতে হবে সমস্যা হচ্ছে কিনা। অথবা এটি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকাই ভালো।
- আমাদের মধ্যে কারো কারো শুষ্ক চুল আবার কারো তৈলাক্ত চুল। সেক্ষেতে কোন চুলের জন্য কিভাবে ব্যবহার করতে হবে এটি আমাদের জানা উচিত। মূলত শুষ্ক চুলের জন্য কারি পাতার সাথে নারিকেল তেল মিশিয়ে ব্যবহার করা উচিত হবে।
চুলের যত্নে কারি পাতা তেলের ব্যবহার
চুলের যত্নে কাতি পাতা তেলের ব্যবহার কতটা কার্জকারী একটি উপাদান তা ব্যবহার
না করলে আপনি বুঝতে পারবেন না। কারি পাতা তেল আপনি নিজেই বাড়িতে বানাতে
পারবেন এজন্য আপনাকে বাজারে কিনতে জেতে হবে না অতিরিক্ত টাকা খরচ করতে হবে না
খোলা নারিকেল তেল কিনে নিবেন, এখন এই তেলের সাথে ১০ থেকে ১২ টি কারি পাতা
দিয়ে একটি পাত্রে অল্প আঁচে ৭ মিনিটে মতো ফুটাবেন। ফুটানো হয়ে গেলে তেলের
পাত্ররে ঠান্ডা করে একটি কোটাতে তেলটি ছেকে সংরক্ষন করে রাখুন।
আরো পড়ুনঃ চুলের যত্নে মেথির ব্যবহার
কারি পাতা সপ্তাহে দুইদিন চুলে ব্যবহার করা ভালো। এটি দুই ভাবে ব্যবহার করা
যায় একটি হলো কারি পাতার তেল বানিয়ে, দ্বিতীয়টি হলো, কারি পাতার সাথে
অন্যান্য উপাদান গুলি মিশিয়ে পেস্ট করে গোসলের পূর্বে লাগাতে হবে। ৩০ মিনিট
রেখে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে নিবেন। আপনার কাছে যদি এই পেস্ট করাটা বিরক্তিকর
মনে হয় তাহলে আপনি কারি পাতার তেল বানিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। সপ্তাহে দুই
দিন ব্যবহার করলে আপনিও ভালো উপকার পাবেন আশা করা যায়।
চুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহার সর্ম্পকে প্রশ্ন
কারি পাতা নিয়ে আমাদের অনেকের মধ্যে বিভিন্ন রকমের প্রশ্ন রয়ে যায়। কিভাবে এটি চুলে ব্যবহার করবো। এছাড়াও আরো বিভিন্ন রকমের প্রশ্ন যা আমাদের কে প্রতিনিয়ত ভাবায়। তাঁর জন্য আমরা গুগলে এসে সার্চ করে থাকি। তাই জেনে নিই কারি পাতা নিয়ে সচরাচর জিজ্ঞাসিত কিছু প্রশ্ন, উত্তর।
১) প্রশ্নঃ কারি পাতা কি প্রতিদিন ব্যবহার করা যায়?
উত্তরঃ কারি পাতা প্রতিদিন ব্যবহার করা যাবে না , সপ্তাহে দুইদিন ব্যবহার করা
ভালো।
২) প্রশ্নঃ কারি পাতা চুলের যত্নে কিভাবে উপকারি?
উত্তরঃ কারি পাতা চুলের গোঁড়ার পুষ্টি যোগায় চুল পড়া কমায় খুকশী দূর করে চুল
দ্রুত লম্বা করতে সাহায্য করে। কারি পাতায় রয়েছে অ্যান্টি অক্সডেন্ট এবং নানা
রকম ভিটামিন চুলের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে।
৩) প্রশ্নঃ চুল গজানোর জন্য কোন পাতা ভাল?
উত্তরঃ চুল গজানোর জন্য অবশ্যই কারি পাতা সবথেকে বেশি কার্জকারী গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা পালন করে। নিয়মিত কারি পাতা ব্যবহার করলে আপনি ফলাফলটি নিজেই বুঝতে
পারবেন।
৪) প্রশ্নঃ কারি পাতা চুলের কি কি উপকার করে?
উত্তরঃ কারি পাতা বিটা ক্যারোটিন এবং প্রোটিনের সমূদ্ধ যা চুলের ফলিক কে
শক্তিশালী করে চুলকে স্বাস্থ্যকর এবং বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
শেষ কথাঃ চুলের যত্নে কারি পাতার ব্যহার
আমরা ইতিমধ্যে চুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহার সর্ম্পকে আলোচনা করেছি। একটা
কথা আপনাদের বলতেই পারি সেটা হলো কারি পাতা ব্যভারের ফলে চুল সত্যি অনেক
সুন্দর ও মসৃণ হয়। চুল পড়া কমায় এবং চুলের স্বাস্থ্যজ্জল ধরে রাখতে সাহায্য
করে যারা অতিরিক্ত চুল পড়া সমস্যা নিয়ে ভুগে থাকেন তারা আজকের এই পোস্ট পরে
আশা করছি কারি পাতা ব্যবহার করার নিয়ম পদ্ধতি কারি পাতার উপকারিতা এসব তথ্য
গুলো অনুসরণ করলে অবশ্যই আপনিও উপকার পাবেন ।
প্রিয় পাঠক আজকে আমরা আপনাদের সাথে চুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহার
সর্ম্পকে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি পোস্টটি সম্পর্ণ পড়েছেন এতক্ষন
নিশ্চয়ই জেনে গেছেন চুলের যত্নে কারি পাতা ব্যবহার কিভাবে করতে হয়। আশা
করছি এই পদ্ধতি গুলো আপনি অনুসরণ করবেন। এমন আরো পোস্ট পেতে আমাদের এই
ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করার অনুরোদ রইলো ধন্যবাদ।
টিপসোহর ব্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url