কারেন্ট বিল বের করার নিয়ম - নতুন নিয়ম দেখুন
কারেন্ট বিল বের করার নিয়ম আজকে আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ১০০% সঠিক ভাবে বাড়িতে বসে নিজেই আপনার বসতবাড়ির প্রতি মাসের ব্যবহার করা ইউনিট কিভাবে বের করবেন। এবং প্রতি মাসে কত টাকা বিল হয়েছে তা কিভাবে নির্ধারণ করবেন।
.webp)
পেজ সূচিপত্রঃ কারেন্ট বিল বের করার নিয়ম
- কারেন্ট বিল বের করার নিয়ম
- কারেন্ট বিল বেশি আসার কারণ কি
- কারেন্ট বিল কমানোর উপায়
- পল্লী বিদ্যুৎ সামিতি-এর কতিপয় সাধারণ বিধি
- কারেন্ট বিল সঠিক কিনা দেখুন
- বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হারিয়ে গেলে কি করবো
- বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার নিয়ম
- কারেন্ট বিল কিভাবে হিসাব করবেন
- কারেন্ট বিল কত মাস বাকি রাখা যাবে
- শেষ কথাঃ কারেন্ট বিল বের করার নিয়ম
কারেন্ট বিল বের করার নিয়ম
কারেন্ট বিল বের করার নিয়ম আজকে আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো কারেন্ট বিল বের
করার নিয়ম সম্পর্কে। তো চলুন কারেন্ট বিল বের করার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
আপনারা হয় তো অনেকেই জানেন যে ইলেকট্রিক মিটার মূলত ২ ধরনের হয়ে থাকে। ইলেকট্রিক
মিটার সাধারণত ২ ধরনের হয়ে থাকে একটি হচ্ছে এনালগ মিটার আরেকটি হচ্ছে ডিজিটাল
মিটার। আজকে আমি আপনাদের সাথে কারেন্ট বিল বের করার যে নিয়ম বলবো সে নিয়মে আপনি
এনালগ মিটার এবং ডিজিটাল মিটারের ইউনিক বা টাকা বের করতে পারবেন।
বর্তমানে এনালগ মিটারের চেয়ে ডিজিটাল মিটারের সংখ্যা বেশি। এখন প্রায় সবার বাসায়
ডিজিটাল মিটার তাই আমি আপনাদের কে ডিজিটাল মিটারের বিল বের করার নিয়ম বলবো। এই
মিটারটিতে ইউনিকের সংখ্যা "১০১৫.৫" ইউনিট। এই মিটারে অনেক গুলো ডিজিট দেখতে পাওয়া
যায়। কোন ডিজিটটি ইউনিক হিসাবে গন্ন হয় কিভাবে বুঝবেন। সেটি বুঝার জন্য সে
ডিজিটের নিচে "KWh" অর্থাৎ কিলো ওয়াড আউয়ার দেখতে পাবেন সেটিই আপনার ইউনিট।
মিটারটি যখন থেকে লাগানো হয়েছে তখন থেকে মোট ইউনিট হলো "১০১৫.৫" ইউনিট। তাহলে
প্রতি মাসে কত ইউনিট ব্যবহার করেছেন। সেটি কিভাবে বের করবেন, প্রতি মাসের ইউনিট
বের করার জন্য আপনাদের সে কাজ টি করতে হবে। চলতি মাসের শেষ তারিখে আপনি যতটুকু
ইউনিট দেখতে পাচ্ছে। সেটি থেকে পুর্ববর্তি মাসের শেষ তারিখে যে ইউনিটটি পাওয়া
গিয়েছিল সেটি বিয়োগ করতে হবে। আপনাদের আরেকটু সহজ করে বলছি।
ধরুন আপনি জুন মাসের ৩০ তারিখে মিটারে গিয়ে দেখলেন মিটারে "১০১৫.৫" ইউনিট
দেখাচ্ছে। এখন এই ইউনিটটীকে আপনাদের রেকড করে রাখতে হবে। অর্থাৎ কোথাও লিখে রাখতে
হবে কিংবা মনে রাখতে হবে। তাহলে আপনি জুলাই মাসে কত ইউনিট ব্যবহার করেছেন তা খুব
সহজেই জানতে পারবেন। এখন জুলাই মাসের শেষ তারিখে আপনার মিটারে গিয়ে দেখবেন কত
ইউনিট দেখাচ্ছে। এখনে যেমন দেখাচ্ছে "১০১৫.৫" ইউনিট।
তো এখন আপনাদের ইউনিট বের করার জন্য যে কাজটি করতে হবে। ৩১ শে জলাই মিটারে যে
ইউনিটটি পেয়েছেন সে ইউনিট থেকে ৩০ শে জুন যে ইউনিটটি পেয়েছিলেন শে ইউনিটটি বিয়োগ
করতে হবে। চলুন আরমা বিয়োগ করি ক্যালকুলেশন চলতি মাসের ইউনিট বিয়োগ গত মাসের
রেকর্ড করা ইউনিট তো চলতি মাসের ইউনিট, জুলাই মাসের ইউনিট বিয়োগ জুন মাসের ইউনিট
(১০৫৫.৫ - ১০১৫.৫) তো আমরা বিয়োগ করে পেলাম , = ৪০ ইউনিট।
কারেন্ট বিল বেশি আসার কারণ কি
কারেন্ট বিল বেশি আসার কারণ কি আপনারা অনেকেই ভাবছেন যে আপনি বেশি কিছু ব্যবহার
করেন না তারপরেও কেন কারেন্ট বিল বেশি আছে। আপনার বিদ্যুৎ বিলের যদি রেডিং বা বিল
অস্বাভাবিক মনে হয় সেক্ষেত্রে আপনার করণীয় কি বা সেই বিলটি কি আদৌ আপনি যাচাই
করতে পারবেন কিনা তো সব জায়গায় দেখবেন যে বলা হয় যে আপনি অফিসে যান অফিসে যেয়ে
একজন পরামর্শ করবেন আবেদন করেন। তারা বলে বা দেখিয়ে দিবে।
আপনারা অনেকেও আছেন যারা এই পর্জন্ত যেতে পারে কারণ যাদের কাছ থেকে অফিস অনেক
দূরে বা হচ্ছে আপনি অফিসে যেতে আপনার দিনের অন্য কাজ ফেলে যেতে হয় সেক্ষেত্রে
আপনি হয়তোবা বিভ্রান্ত থাকেন যে আপনি অফিসে যাবেন কিনা। তো যদি এমনটা হয় যে আপনি
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে পাওয়ার পরে নিজেই যাচাই করতে পারবেন যে আপনার বিদ্যুৎ
বিলটা সঠিক এসেছে কিনা। তো কিভাবে বের করবেন চলুন জেনে নেই।
আরো পড়ুনঃ বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম
আজকে আমরা আপনাদের সাথে চারটি বিষয় নিয়ে যে চারটি বিষয় আপনি চেক করলে আপনি শতভাগ
না হলেও প্রায় ৯৯ ভাগ সিওর হতে পারবেন যে আপনার বিদ্যুৎ সঠিক আছে। না ভুল আছে না
অস্বাভাবিক হয়েছে তো দেখেন আমি নিচে খুব সুন্দর করে লিখে দিয়েছি। যে চারটি বিষয়
নিয়ে আমি কথা বলার চেষ্টা করবো। তাঁর মধ্যে হচ্ছে __
- বিদ্যুৎ বিলে থাকা মিটারের নম্বর মিলিয়ে দেখতে হবে।
- মিটারের রিডিং মিলিয়ে দেখতে হবে।
- মিটার নষ্ট হয়েছে কিনা অথবা ব্যবহার ছাড়া রিডিং আসছে কিনা দেখতে হবে।
- মিটারের পর হতে ব্যবহার বেশি কিংবা ওয়ারিং ক্রটি আছে কিনা দেখতে হবে
আপনাকে যে বিদ্যুৎ বিলের কাগজটি দেওয়া হয় সেটির সাথে আপনার মিটার নাম্বারটি
মিলিয়ে দেখতে হবে যে মিটার নাম্বারের সাথে বিদ্যুৎ কাগজটি মিল আছে কিনা এরপর
যেটি করতে হবে সেটি হলো মিটারের রিডিং এবং বিদ্যুৎ কাগজের রিডিং মিলিয়ে দেখতে
হবে। তারপরে যেটি করতে হবে মিটারটি নষ্ট না ভালো সেটি চেক করতে হবে। এবং
সর্বশেষ আপনার বাসা বাড়ির ভিতরে ব্যবহার অথবা ওয়ারিং চেক করতে হবে তো যেমনটি
বলছিলাম।
আপনি আপনার মিটারের সন্দেহ যদি হয় যে মিটারের বিল অস্বাভাবিক এসেছে তো সেই
ক্ষেত্রে যেটি করণীয় মিটারের বিল অস্বাভাবিক আসার সম্ভাব্য কারণগুলো এখানে
আপনাদের খুব সহজে বুঝানোর চেষ্টা করবো। তো প্রথমে যেটি করতে হবে বিদ্যুৎ বিলের
কাগজটি হাতে পাওয়ার পর প্রথম কাজ হচ্ছে বিদ্যুৎ বিলের কাগজের উপরে এক জায়গাতে
খেয়াল করে দেখবেন একটা মিটার নাম্বারের কথা বলা হচ্ছে তো এই মিটার
নাম্বারটা।
আপনার বিলের কাগজে যে মিটার নাম্বারটি দেওয়া রয়েছে সেই নাম্বার আর আপনার
মিটারের নিচে দেখবেন একটা নাম্বার দেওয়া রয়েছে সেই দুইটা নাম্বার মিলিয়ে
দেখবেন। যদি মিলে যায় তাহলে বুঝা যে আপনি যে মিটারের বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন সেই
মিটারটির বিল আপনার কাছে এসেছে। এরপরে আপনার মিটারের রিডিং অর্থাৎ আপনি যে
ব্যবহার করছেন সেটি যে রিডিং এসেছে মিটারে। সেই বিদ্যুৎ বিল সঠিক আছে না ভুল
আছে তা ভালো ভাবে চেক করা।
কারেন্ট বিল কমানোর উপায়
কারেন্ট বিল কমানোর উপায় আপনার বসতবাড়ির বিদ্যুৎ বিলের পেছনে মাসে হাজার হাজার
টাকা খরচ হচ্ছে। আপনারা ভাবছেন কিভাবে বিদ্যুৎ বিল কমানো যায়। আপনারা প্রায়
সবাই বলেন যে ডিজিটাল মিটারের মাসে বিল বেশি আসে এই কথা টা কিন্তু সত্যি যে
ডিজিটাল মিটারের বিল একটু বেশি আসেন। আজকে আরমা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো
কারেন্ট বিল কমানোর উপায় তো চলুন কারেন্ট বিল কমনোর উপায় সম্পর্কে জেনে
নেই।
আজকে আমরা আপনাদের সাথে কারেন্ট বিল কমানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো।
আপনি যদি আপনার বসতবাড়ির কারেন্ট বিল কমানোর উপায় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই
পোস্ট বা আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্জন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।আজকেই এই পোস্টে
আমি আপনাদের কে কারেন্ট বিল কমানোর ৭টি সহজ উপায় সম্পর্কে জানাবো। তাহলে চলুন
কারেন্ট বিল কমানোর ৭টি সহজ উপায় জেনে নেওয়া যাক।
১) বিদ্যুৎ সাশ্রয়ীতি যন্ত্রপাতি যেমন - CFL, LED বাতি ইত্যাদি
ব্যবহার করুন।
২) রুম থেকে বের হওয়ার সময় বৈদ্যুতিক সুইচ বন্ধ রাখুন।
৩) সুইচ বোর্ডের সঠিক সুইচ দেখে আপনার প্রয়োজনীয় সুইচটি অন করুন
৪) এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তাঁর উপরে রাখুন।
৫) প্রয়োজন না হলে কম্পিউটার, টিভি, এসি ও অন্যান্য বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি
বন্ধ রাখুন।
৬) দিনের বেলায় জানালার পর্দা সরিয়ে রাখুন, সূর্জের আলো ব্যবহার করুন।
১) সুইচ বন্ধ রাখাঃ যেগুলো ব্যবহার হচ্ছে না সেগুলো সুইচ বন্ধ
রাখুন। ফ্যান, বাল্প, টিভি, কম্পিউটার ব্যবহার না করতে কম্পিউটার
সুইচ বন্ধ করে রাখুন।
২) বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী যন্ত্রপাতি ব্যভারঃ প্রচলিত বাল্পের
তুলোনাই অ্যালার্জি বাল্প বা এলএডি বাল্প ব্যবহার করা হলে অনেক ব্যবহার কমে
যায়। এখানে প্রচলিত বাল্প ১০০ ওয়াট ব্যবহার করে এখনে অ্যালার্জি বাল্পটি
ব্যবহার করে মাত্র ২৫ ওয়াট। আটির কয় মূল্য অনেক বেশি মনে হলেও এটি কিন্তু অনেক
দিন কাজ করে থাকে।
৩) এসির নিয়ন্ত্রিত ব্যবহারঃ বাসা বাড়িতে এসির ব্যবহার এখন
অনেক বেশি নিয়মিত হচ্ছে। কিন্তু নিয়মিত ভাবে এসির ব্যবহার করা গেলেও এটি কমিয়ে
আনা উচিত এসির তাপমাত্রা সবসময় ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রাখতে হবে।
এসির নির্দিষ্ট ঠাণ্ডা হয়ে গেলে এসি বন্ধ করে ফ্যান চালু করতে
পারেন।
৪) মানসম্মত তাঁর ব্যবহারঃ এই বিষয়টি খুবই গুরুত্বপুর্ন
বিদ্যুৎ এর তারের উপর বিদ্যুৎ এর বিল অনেক সময় নির্ভর করে। খারাপ মানের তাঁর
হলে সংযোগ নড়বরা হলে সেটি নো ভোলটেস সৃষ্টি করে।
৫) বিকল্প যন্ত্রপাতির ব্যবহারঃ বাসায় রান্না করা খাবার গরম
করার ক্ষেত্রে মায়ক্রোমের ব্যবহার না করে চুলা ব্যবহার করতে পারেন।
৬) বিদ্যুতের সীমিত ধাপের মধ্যে থাকাঃ বিদ্যুতের ব্যবহার
অনুযায়ী এক একটি ধাপে এক এক রকম বিল আছে। যেমন কারো যদি বিদ্যুতের ব্যবহার যদি
০-৭৫ ইউনিট মধ্যে সীমিত থাকে। তাহলে বিল এক বারে কম আসবে। কিন্তু যদি ৬০১ ইউনিট
থেকে বিল বাড়তে থাকে।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি- এর কতিপয় সাধারণ বিধি
১) বিকাশ, রকেট, উপায়, ও অন্যান্য এমএফএস এর মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল
পরিশোধের ক্ষেত্রে আপনার মোবাইল এ ফিরতি এসএমএস না আসা পর্জন্ত বিলটি অপরিশোধিত
হিসাবে গণ্য হবে। এ কারনে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলে কর্তৃপক্ষ দায়ী নহে।
২) সদস্য/গ্রাহককে এই মর্মে জানানো যাইতেছে যে, প্রাহক মাসিক ভিত্তিতে বিল
পাইয়া পরিশোধ করিয়া থাকুক এবং তিনি পরবর্তী বিল যদি আনুমানিক নির্দিষ্ট
তারিখের মধ্যে না পাইয়া থাকেন তবে অবশ্যই তাহা সাথে সাথে সমিতিকে অবহিত করিবেন।
বিদ্যুৎ বিল পাইবার সাথে সাথে বিদ্যুৎ বিলে উল্লেখিত রিডিং মিটারের সাথে সাথে
মিলিয়ে দেখুন কোন তারতম্য হলে সমিতিকে অবহিত করুন।
আরো পড়ুনঃ ইউটিউবে কিভাবে চ্যানেল খুলবো
৩) যদি কোন বিদ্যুৎ বিল গ্রাহকের নিকট ক্রটিপুর্ন কিংবা মিটারের রিডিং - এর
সহিত সামজ্ঞস্যহীন বলিয়া মনে হয়, তাহা হইলে পরিশোধের তারিখের পুর্বে গ্রাহক
অবশ্যই সমিতিকে তাহা অবহিত করিবেন।
৪) বিদ্যুৎ আইন এবং সমিতি প্রচালিত বিধি অনুযায়ী গ্রাহকের গৃহে স্থাপিত
বৈদ্যুতিক মিটারের রক্ষক গ্রাহক নিজেই। কাজেই মিটারের কোন ক্রটি দেখিলে,
প্রাকৃতিক বিপর্জয়ে মিটার ক্ষতিগ্রস্থ হইলে গ্রাহক সাথে সাথে তাহা কারণ
সমিতিকে অবহিত করিবেন।
৫) নিম্নলিখিত কারণ সমিতির সদস্য পদ বাতিল হইতে পারেঃ-
(ক) ইচ্ছাকৃতভাবে গ্রাহক সমিতির সম্পত্তি বা সাজ-সরজ্ঞামের ক্ষতি সাধন-
করিয়ে;
(খ) অবৈধভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করিলে;
(গ) মিটার বা সাজ- সরজ্ঞাম উল্টা ঘুরানোর চেষ্টা করিলে।
(ঘ) বিল তৈরীর ৯০ দিনের মধ্যে বিল পরিশোধ না করিলে।
(ঙ) সমিতির কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের দাপ্তরিক কাজে নিয়োজিত থাকাকালীন সময়ে
সমিতির গ্রাহক সদস্য অথবা তাহার প্রতিনিধি কর্তৃক ভয়ভীতি প্রদর্শন অথবা শারীরিক
নির্জাতন করিবে।
৬) গ্রাহকের বিলিং-এর সুবিধার্থে মিটার রিডিং প্রভৃতি কাছে সমিতির প্রতিনিধিকে
আইনানুগ সকল সহযোগিতা করিতে গ্রাহক সদস্য সমিতির নিকট অঙ্গীকারাবদ্ধ।
৭) বাড়ি, বাণিজ্যিক, সেচ ও রাস্তার বাতির ক্ষেত্রে বিল তৈরীর তারিখ হইতে ২০
(বিল) দিনের মধ্যে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করিতে হইবে। উক্ত বিল ২০(বিশ) দিনের
মধ্যে পরিশোধ করিতে অপারগ হইলে বিলের শতকরা ৫ ভাগ অতিরিক্ত মাশুল বিলের টাকা
সঙ্গে পরিশোধ করিতে হইবে। বিল তৈরীর ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে বিল পরিশোধে
ব্যর্থ হইলে পরের দিন গ্রাহকের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করণ যোগ্য বলিয়া গণ্য
হইবে।
৮) মিটার কার্জকারিতা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকিলে সর্বশেষ বিলসহ বকেয়া বিল
পরিশোধ করিয়া মিটার টেস্টিং ফ্রি জমা দিলে মিটার টেস্টিং করা হইবে।
৯) বকেয়ার কারণে সংযোগ বিচ্ছিন্নক্রা হলে বিচ্ছিন্ন ও পুন:সংযোগ ফি নিম্নরূপঃ
সকল এলটি
(ক) এক ফেজ ৩৬০+৩৬০=৭২০ টাকা এর সঙ্গে ১৫% ভ্যাট= ৮২৮ টাকা।
(খ) তিন ফেজ ৯৬০+৯৬০= ১, ৯২০ টাকা এর সঙ্গে ১৫% ভ্যাট = ২, ২০৮ টাকা।
(গ) এমটি এবং এইচটি ৬,০০০+৬,০০০ = ১২, ০০০ টাকা এর সঙ্গে ১৫% ভ্যাট = ১৩,৮০০
টাকা।
(ঘ) ই- এইচটি ১২,০০০+ ১২, ০০০= ২৪০০০ টাকা এর সঙ্গে ১৫% ভ্যাট = ২৭, ৬০০
টাকা।
কারেন্ট বিল সঠিক কিনা দেখুন
কারেন্ট বিল সঠিক কিনা দেখুন বর্তমানে কারেন্ট নাই এমন কোন বাসা বাড়ি নেই। এখন
প্রায় সবাই বলে যে ডিজিটাল মিটারে নাকি বেশি বিল আসে। হ্যা ডিজিটাল মিটারে একটু
বেশি বিল আছে। তো মাসে আপনার কারেন্ট বিল বেশি মনে হচ্ছে তাহলে আপনার করণীয় কি।
কারেন্ট বিলের কাগজ হাতে পাওয়ার পরে আপনি নিজেই সঠিক কারেন্ট বিল বের করতে
পারবেন। আপনার কারেন্ট বিল বের করার জন্য কারো কাছে যাওয়া লাগবে না আপনি নিজেই
বের করতে পারবেন।
তো চলুন সঠিক নিয়মে কারেন্ট বিল বের নিয়ম জেনে নেওয়া যাক। এখন ঘরে বসে খুব
সহজেই কারো সাহায্য ছারায়। আপনি নিজে নিজেই ডিজিটাল মিটারের বিল বের করতে
পারবেন। এজন্য আপনাকে প্রথমেই আপনার মিটারের কাছে যেতে হবে। এবং মিটারের স্কিনে
দেখবেন "KWh" লেখা রয়েছে আমার মিটারে "১১৯৫.০" লেখা আছে। আপনার আলাদা দেখতে
পারবেন। যেটা বর্তমানে আপনার ব্যবহিত ইউনিট এজন্য আপনাকে যা করতে হবে।
আপনাকে এই ব্যবহিত ইউনিটটি একটি খাতায় তুলে রাখতে হবে কিংবা মনে রাখতে হবে।
এরপর আপনার গত মাসের বিলের কাগজে দেখবেন উপরে লেখা রয়েছে বর্তমান ইউনিট।
এরপরে যা করবেন চলতি মাসের বিল এবং গত মাসের বিল বিয়োগ করবেন। আমি আমার বিল
বিয়োগ করে দেখাচ্ছি আপনাদের। (১১৯৫.০ - ১০৯০) = ১০৫ , আমরা যদি ১১৯৫.৫ এবং ১০৯০
বিয়োগ করি তাহলে আসবে =১০৫ তাহলে আপনার ১০৫ ইউনিট বিলের টাকা পরিসদ করতে
হবে।
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হারিয়ে গেলে কি করবো
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হারিয়ে গেলে কি করবো আপনার যদি কারেন্ট বিলের কাগজ ছিরে যাই
অথবা হারিয়ে যাই তাহলে কি করবেন। আপনার বিলের কাগজ যদি কোন কারণে হারিয়ে যাই
তাহলে আপনারা অনলাইনের মাধ্যমে খুব সহজেই বের করতে পারবেন। আজকেরই এই পোস্টে
আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো যে কিভাবে আপনি আপনার হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে
কারেন্ট বিলের কাগজ বের করবেন। তো চলুন শুরু করা যাক।
এই কাজটি আপনি কিন্তু ফোনের মাধ্যমে করতে পারবেন আবার কম্পিউটারের মাধ্যমে ও
করতে পারবেন। তো প্রথমেই আপনি আপনার ফোন বা কম্পিউটারের ক্রোম ওপেন করে নিবেন।
গুগলে গিয়ে সার্চ করবেন "BPDP.com.bd" এটি লিখে সার্চ করবেন। সার্চ করার পরে
আপনাদের সামনে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এই পেজটি ওপেন হবে। এরপরে আমরা
নিচের দিকে চলে আসবো। এরপরে যা করতে হবে।
বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার নিয়ম
বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার নিয়ম আপনার বিকাশ অ্যাপ থেকে কিভাবে সহজে
বিদ্যুৎ বিল দেবেন আজকের পোস্টে মূলত সেই প্রসেসটি একদমই সহজে আপনাদেরকে বলবো।
তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে মূল বিষয়টি শুরু করি। প্রথমেই আপনি আপনার বিকাশের
অ্যাপসে যাবেন। অ্যাপসে আসার পর এখান থেকে পে বিল নামে একটা অপশন রয়েছে। পেবিল
জাস্ট এই পেবিলে একটা ক্লিক করছি। ক্লিক করার পর এখান থেকে বেস কিছু অপশন
আছে।
তার মধ্যে হচ্ছে বিদ্যুতের অপশনটা প্রথমেই রয়েছে দেখেন। প্রথমেই রয়েছে দেখেন
বিদ্যুৎ জাস্ট আমরা এই বিদ্যুৎ ক্লিক করবো ক্লিক করার পর আপনার এটা যদি পল্লী
বিদ্যুৎ হয়ে থাকে তাহলে পল্লী বিদ্যুতের প্রিপেইড হয়ে থাকলে পোস্টপেড হয়ে থাকলে
পোস্টপেড অথবা যদি আপনার এটা ডেস্কো হয়ে থাকে। তাহলে ডেস্কো দিবেন অথবা আপনার
এটা ডিপিডিসি হয়ে থাকে তাহলে ডিপিডিসি দিবেন। আপনার টা আপনি সিলেক্ট
করবেন।
সিলেক্ট করার পর এখান থেকে কাস্টমার নাম্বার দিতে বলবে। কাস্টমার নাম্বার কোথায়
পাবেন আপনার কাছে যে বিললের কাগজটি আছে সেই বিলের কাগজে কিন্তু একটা কাস্টমার
নাম্বার পাবেন । আপনার বিলের কাগজে কাস্টমার নাম্বারটা উপরের দিকে লেখা রয়েছে
ঠিক আছে জাস্ট এই নাম্বারটা এখনে বসিয়ে দিবেন। আপনার কাস্টমার নাম্বারটা বসিয়ে
দেওয়ার পরে। এখনে পেবিল করতে এগিয়ে যান এর পাশে একটা তীর চিহ্ন আছে। জাস্ট
এখানে একটা ক্লিক দেই। তাহলে দেখবেন এখান থেকে অটোমেটিক দেখাবে যে টু টোটাল কত
টাকা বকেয়া রয়েছে।
এখন যে পরিমাণ টাকা আপনাকে পরিশোধ করতে হবে সেই পরিমাণ টাকা কিন্তু আপনার
বিকাশের অ্যাকাউন্টে মাস্টবি থাকতে হবে। এরপরে যে কাজটি করবো পরেরটা পেজেতে
ট্যাপ করে এর পাশে তীর চিহ্নতে একটা ক্লিক করে দিব ক্লিক করে দেওয়ার পর আপনার
পিন নাম্বারটা দিতে হবে। এখনে আপনি আপনার পিন নাম্বারটা দিয়ে দিবেন। তাহলে
দেখবেন আপনার পিন নাম্বারটা দিয়ে দেওয়ার পরপর একটি ইন্টারফেস সো করবে। এখান
থেকে পে বিল করতে ট্যাপ করে ধরে রাখুন জাস্ট এখানে একটু চাপ দিয়ে ধরে রাখতে হবে
। তাহলে আপনার বিল পরিশোধ করা হয়ে যাবে।
কারেন্ট বিল কিভাবে হিসাব করবেন
কারেন্ট বিল কিভাবে হিসাব করবেন আজকে আমি আপনাদের জানাবো পল্লী বিদ্যুতের এক
ইউনিট সমান কত টাকা এবং তারা কিভাবে বিল হিসাব করে এবং হিসাবকৃত বিলের সাথে
অতিরিক্ত কিন কোন টাকা অ্যাড করে। এবং আপনারা আপনাদের মিটারে কিভাবে দেখবেন যে
কত ইউনিট এ মাসে খরচ করেছেন সেটি কিভাবে দেখবেন। এবং কিভাবে আপনারা আপনাদের
বাড়িরে বসে বিদ্যুৎ বিল হিসাব করবেন। সকল বিস্তারিত তথ্য আজকে আমি আপনাদের
জানাবো।
আরো পড়ুনঃ আরবি মাসের ক্যালেন্ডার
তো আমি প্রথমে আপনাদেরকে জানাচ্ছি যে পল্লী বিদ্যুতের এক ইউনিট তারা কত টাকা
করে। আনাদের কাছ থেকে নেই তো সেটি আমি আপনাদের কে বলতেছি তো আপনাদের যদি
প্রথমে শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে ইউনিট ব্যবহার করে থাকেন তাহলে আপনাদের কে
এক ইউনিটের জন্য টাকা দিতে হবে চার টাকা ৬৩ পয়সা। যদি আপনারা শূন্য থেকে ৭৫ এর
মধ্যে ইউনিট ব্যবহার করে থাকেন তাহলে আপনাদেরকে প্রতি ইউনিটের জন্য টাকা দিতে
হবে পাঁচ টাকা ২৬ পয়সা।
যদি আপনারা ৭৬ থেকে ২০০ এর মধ্যে ইউনিট ব্যবহার করে থাকেন তাহলে প্রতি ইউনিটের
জন্য ৭ টাকা ২০ পয়সা করে বিদ্যুৎ বিল দিতে হবে। ২০১১ থেকে আপনারা যদি ৩০০ এর
মধ্যে ইউনিট ব্যবহার করে থাকেন। তাহলে প্রতি ইউনিটের জন্য আপনাদেরকে বিল দিতে
হবে ৭ টাকা ৫৯ পয়সা। এবং আপনারা যদি ৩০১ থেকে ৪০০ এর মধ্যে ইউনিট ব্যবহার করে
থাকেন তাহলে প্রতি ইউনিটের জন্য আপনাদের কে বিল দিতে হবে ৮ টাকা ০২ পয়সা।
আপনারা যদি ৪০১ থেকে ৬০০ এর মধ্যে ইউনিট ব্যবহার করে থাকেন। তাহলে আপনাদেরকে
প্রতি ইউনিটের জন্য বিল দিতে হবে ১২ টাকা ৬৭ পয়সা। এবং সর্বশেষ যে ষষ্ঠ ধাপ
রয়েছে আপনাদের যদি ৬০০ এর ঊর্ধে বিদ্যুৎ বিল বা ইউনিট ব্যবহার করে থাকেন। তাহলে
আপনাদের কে বিদ্যুৎ দিতে হবে ১৪ টাকা ৬১ পয়সা। তো এখন এর সাথেও আপনাদের কে
অতিরিক্ত কিছু টাকা অ্যাড করবে তো কোন কোন টাকা অ্যাড করবে।
এখন এর সাথে অতিরিক্ত কিছু টাকা অ্যাড করবে। বিলের সাথে আর কোন কোন টাকা
অতিইরক্ত অ্যাড করে তো বিলের সাথে অতরিক্ত টাকা অ্যাড করবে। ডিমান্ড চার্জ ৪২
টাকা মিটার ভাড়া ১০ টাকা এবং ভ্যাট ২২ টাকা অর্থাৎ ২২, ১০, এবং ৪২, মোট ৭৪ টাকা
তারা কিন্তু অতিরিক্ত অ্যাড করবে। আপনাদের যদি ২০০ ইউনিট ধরুন আপনাদের ২০০
ইউনিট ব্যবহিত হয়েছে বা ব্যহার করেছেন ২০০ ইউনিট তো সেক্ষেত্রে। আপনাদের ইউনিট
রেটটা কিভাবে ধরবে।
কিভাবে তারা ইউনিট রেটটা হিসাব করে সেটাই আমি আপনাদের বলবো এখন তো আপনাদের এই
২০০ ইউনিটের মধ্যে প্রথম ৭৫ ইউনিটের জন্য আপনাদের কে ৫ টাকা ২৬ পয়সার রেটে তারা
হিসাব করবে। এই যে এখানে আমি আপনাদের বোঝার সুবিধার্থে একটা হিসাব করে রেখেছি
দেখুন ২০০ ইউনিট ২০০ ইউনিটের প্রথম ৭৫ ইউনিটের জন্য ৫ টাকা ২৬ পয়সা হারে আপনার
বিলটা হিসাব করবে। ৩৯৪ ৫ অর্থাৎ ৫০ পয়সা রয়েছে।
কারেন্ট বিল কই মাস বাকি রাখা যাবে
কারেন্ট বিল কত মাস বাকি রাখা যাবে আপনারা অনেকেই আছেন যে কোন কারণে কারেন্ট
বিল দিতে পারছেন না। তাহলে সর্বচ্চ কয় মাস কারেন্ট বিল বাকি রাখতে পারবেন। আজকে
আমরা মূলত এই বিষয় আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আপনারা অনেকেই জানেন না যে কারেন্ট
বিল মূলত কত মাস বাকি রাখা যাবে। আপনাদের যাদের বাসায় আর্থিক সমস্যার কারণে
কারেন্ট বিল দেতে পারছেন না অথবা কোন কারণে কারেন্ট বিল দিতে পারছেন না।
আপনারা যারা জানেন না যে কত মাস কারেন্ট বিল বাকি রাখা জানে। তাহলেই কোন
চিন্তার কারণ নাই কারণ আমি আজকে আপনাদের সাথে কারেন্ট বিল কত মাস বাকি রাখা
যাবে সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। তাহলে চলুন মূল বিষয় আলোচনা করা যাক।
কারেন্ট বিল সর্বচ্চ চার মাস বাকি রাখা যাবে। আর আপনি যদি কোন কারণে কারন্ট বিল
পাঁচ মাস বাকি রাখেন। তাহলে আপনার কারেন্টের নাইল কটে দেওয়া হবে।
শেষ কথাঃ কারেন্ট বিল বের করার নিয়ম
কারেন্ট বিল বের করার নিয়ম বা উপায় আমরা আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি
কারেন্ট বিল বের করর নিয়ম সম্পর্কে আপনারা প্রায় সবাই মনে করেন যে আপনার
কারেন্ট বিল বেশি আসছে। তাই আমি আজকে এই পোস্ট বা আর্টিকেলের মধ্যে খুব সহজেই
কারেন্ট বিল বের করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি আজকেই
এই পোস্ট বা আর্টিকেল থেকে আপনি নিজেই কারেন্ট বিল বের করতে পারবেন খুব সহজেই
আপনি যদি এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্জন্ত মনোযোগ সহকারে পড়েন। তাহলে আপনার
কারেন্ট বিল বের করার যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর বা সমাধার করতে পারবেন।
প্রিয় পাঠক আমি আজকে আপনাদের সাথে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা
করেছি। বর্তমানে কারেন্ট নেই এমন কোন বাসা বাড়ি নেই। এখন প্রায় সবার বাসায়
ডিজিটাল মিটার রয়েছে। তাই আমি আজকে আপনাদের সাথে ডিজিটাল মিটার সম্পর্কে
বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি আজকেই এই পোস্ট থেকে আপনি নিজেই কারেন্ট
বিল বের করতে পারবেন। আজকেই এই পোস্ট বা আর্টিকেল থেকে আপনার যাবতীয় সমস্যার
সমাধান পেয়েছেন। এই পোস্টটি আপনি শেষ পর্জন্ত পড়লে আপনার কাজে আসবে। এই
পোস্টটি পরে যদি আপনার কোন মতামত থাকে তাহলে নিচে কমেন্ট করতে পারেন।
টিপসোহর ব্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url